তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ঠিকানা হবে হাই–টেক পার্ক: জুনাইদ আহমেদ

রংপুর নগরের খলিশাকুড়ি এলাকায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচনের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন
ছবি: প্রথম আলো

রংপুরে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, রংপুরবাসী ও তরুণ প্রজন্মের জন্য হাই–টেক পার্ক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি অন্যতম উপহার। শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধানির্ভর অর্থনীতির দিকে যাওয়ার জন্যই এই হাই–টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই হাই–টেক পার্ক হবে স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকা শক্তি। এটি হবে রংপুর বিভাগের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ঠিকানা।

রংপুর নগরের কলিশাকুড়ি এলাকায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই–টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হাই–টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করা হয়।

রংপুরে হাই–টেক পার্ক নির্মাণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক নির্দেশনায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের জন্য কেউ তেমন কিছুই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য করেননি। তাই নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। বিএনপি শুধু দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করেনি দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে, লুটপাট করেছে ও মানুষ খুন করেছে। এ জন্যই ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির এত ভয়। দেশের মানুষ দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে আবারও বিপুল ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারকেই নির্বাচিত করবেন।

ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচনের পর রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিবর্ণ কুমার ঘোষ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিষয়ক তথ্যচিত্র ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের তথ্যচিত্র এবং প্রকল্পের উদ্যোগে হাই–টেক পার্ক রংপুর নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

নকশানুযায়ী হাই–টেক পার্কে তিনটি ভবন থাকবে। হাই–টেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে কর্মসংস্থান হবে পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর। প্রতিবছর তিন হাজার তরুণ-তরুণী যুক্ত হবে এই কর্মসংস্থানে। বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ভারতীয় অর্থায়নে রংপুরসহ বাংলাদেশের ১২টি জেলায় আইটি/হাই–টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।