তামাকের চেয়ে শসায় লাভ

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হচ্ছে।

মাচায় ঝুলছে শসা। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের কৃষক আজাদ মোড়ল শসা চাষ করে তিন গুণ লাভ করেছেন। পরিকল্পিত চাষ ও খেতের সঠিক পরিচর্যায় ধান–তামাকের চেয়ে শসার ফলন বেশি। লাভও বেশি। শুধু আজাদ নন, শসা চাষে স্থানীয় শতাধিক কৃষক লাভবান হয়েছেন।

আজাদ মোড়ল বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো তামাক ছেড়ে শসা চাষ শুরু করি। ওই বছর মাত্র এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করা হয়। আগে জমিতে তামাক চাষ করা হতো। তামাক চাষে প্রচুর সার ব্যবহার করতে হয়। এ কারণে এলাকায় সারের দোকানে মোটা দাগের বাকি হতো। সারা রাত জেগে তামাক পোড়াতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে স্ত্রীকে। তামাক জ্বালাতে গিয়ে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ কারণে তামাকের বিকল্প শসা চাষ শুরু করি। তখন প্রতি বিঘায় শসা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছিল। পরের বছর আরও দুই বিঘা জমিতে শসার চাষ করি। এভাবে বাড়তে বাড়তে এখন পাঁচ বিঘায় আবাদ করছি। বিঘাপ্রতি শসা আবাদে খরচ ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।’

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, বিশ্বনাথপুর, কোমরপুর, মহাজনপুর, বাবুপুর, আনন্দবাস, রশিকপুর, দারিয়াপুর, গৌরীনগর, যতারপুর, গোপালপুর এলাকার শসাসহ অন্যান্য সবজি স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দখল করেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সবজিবাজার।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা আর চাষিদের পরিশ্রম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার ভালো ফলন হয়েছে চলতি মৌসুমে। সারা দেশে শসার চাহিদা থাকায় চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।