তিনবন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার এক তরুণ গতকাল মঙ্গলবার মহেশখালী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই তরুণের নাম মো. এবাদুল্লাহ (১৯)।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি নবম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি তার সঙ্গে নুরুল হাকিম নামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নুরুল হাকিম ফোন করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। এরপর পাশের বেগুনখেতে নিয়ে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। রাতের আঁধারে নুরুল হাকিমের দুই বন্ধু খাইরুল আমিন ও মো. এবাদুল্লাহ দুজনকে ধরে ফেলেন। পরে নুরুল হাকিমের সম্মতিতে তাঁর দুই বন্ধুও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। গত সোমবার সকালে মেয়েটি তাঁর মাকে বিষয়টি জানায়। রাতে মো. এবাদুল্লাহকে আটক করা হয়। মেয়েটির মা বাদী হয়ে গতকাল সকালে মহেশখালী থানায় ওই তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলে এবাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এমরানুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে মহেশখালী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবাদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই মামলার জড়িত অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মহেশখালী থানার পরিদর্শক এমরানুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীতে গতকাল দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।