২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তিন সাংসদকে নিয়ে কুমিল্লার সেই পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপ ও একটি মন্দির পরিদর্শন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। পবিত্র কোরআন অবমাননা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনার ১৫ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের তিন সাংসদকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি নগরের কাপড়িয়াপট্রি চানমনি কালীমন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সান্ত্বনা দেন। দুপুর ১২টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্তধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ সময় তিনি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, ইমাম ও হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেন।

প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘ধর্মের নামে যারা সহিংসতা করেছে, তাদের নেপথ্যের নায়কদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার কাজ করছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা সেই অপশক্তিকে রুখে দেব। অপশক্তি যে দলেরই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে নিয়েই তাদের প্রতিহত করা হবে।’

মো. ফরিদুল হক খান আরও বলেন, ‘কোনো মুসলমান, কোনো হিন্দু এই কাজ করতে পারেন না। যিনি বা যাঁরা করেছেন, তাঁদের শাস্তি পেতে হবে।’

সভায় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি হজে ছিলাম। আমি থাকলে এতটুকুও হতে দিতাম না। প্রশাসন ও দলীয় নেতা–কর্মীরা মিলে আমরা সহিংসতা রুখে দিয়েছি।’

পরিদর্শনকালে ও সংলাপ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ আসনের সাংসদ প্রাণ গোপাল দত্ত, দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টের ট্রাস্টি অংকুর জীৎ সাহা নব, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে নগরের সাতটি পূজামণ্ডপে ও চারটি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।