তিস্তা এক্সপ্রেসের একটি বগি বাতিল, টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬০টি আসনের একটি বগি বাতিল করা হয়েছে। এতে যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বগিটি সংযুক্ত করা না হলে যাত্রীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯ মে থেকে আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণির ৬০ আসনের একটি বগি বাতিল করা হয়। ফলে ট্রেনটির ৬০টি আসন কমে গেছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, সড়কপথে জামালপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্য ভালো মানের বাস সার্ভিস না থাকায় জেলার অধিকাংশ মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, জামালপুর, নান্দিনা ও পিয়ারপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা ও ময়মনসিংহে প্রায় তিন হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এখন ট্রেনটির একটি বগি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
জামালপুরের মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, যাত্রীর চাপ মাথায় রেখে বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা-জামলাপুর রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন ও ট্রেনের আসন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে। তাদের এ আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ একটি বগি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
জাহাঙ্গীর সেলিম আরও বলেন, আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য প্রতিদিন যাত্রীরা রীতিমতো যুদ্ধ করে থাকেন। সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ কোন যুক্তিতে একটি বগি কমাল—এটা তাঁর বোধগম্য নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বগিটি ফেরত না দিলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী গোলাম মোর্তজা বলেন, জামালপুর স্টেশন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) ৫৫টি, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (কেবিন) ১০টি, প্রথম শ্রেণি (কেবিন) ১৫টি ও শোভন শ্রেণির ১২০টি আসন ছিল। এসব আসনের মধ্যে অর্ধেক টিকিট মিলত কাউন্টারে, বাকিগুলো অনলাইনে। এর মধ্যে শোভন শ্রেণির বাতিল করা ‘ঠ’ বগির আসন ছিল ৬০টি।
জামালপুর-ঢাকা রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি জানিয়ে জামালপুর রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মো.আছাদ-উজ জামান বলেন, এ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য প্রতিদিন সকালে কাউন্টারে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ ভিড় সামাল দিতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। হঠাৎ আসনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসায় দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।