ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সুনামগঞ্জের পথে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল
ছবি: প্রথম আলো

৬০০ পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সুনামগঞ্জের পথে রওনা হয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি দল সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। আর ত্রাণসামগ্রী ট্রাকে করে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে তিন কেজি চাল, দেড় কেজি চিড়া, ৫০০ গ্রাম ডাল, খেজুর, বিস্কুট, চিনি, দুই লিটার সুপেয় পানি, পাঁচটি খাওয়ার স্যালাইন, দুটি পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, ১০টি নাপা, একটি সাবান, এক প্যাকেট সাবানের গুঁড়া, পাঁচটি মোমবাতি ও একটি গ্যাসলাইটার।

স্বেচ্ছাসেবী দলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ‘আমরা জনগণের টাকায় পড়াশোনা করি, আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে’ স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই টাকায় ত্রাণসামগ্রীর ৬০০টি প্যাকেট করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সুনামগঞ্জে পৌঁছে বৃহস্পতিবার সকালে দুই দলে বিভক্ত হয়ে দুটি স্থানে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেশ-সমাজ ও জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমরা আটটি দলে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ টাঙ্গাইল শহর থেকে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছি।’

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল বলেন, ‘জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছি, তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই ক্যাম্পাসে সক্রিয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াব আমরা।’

বিষয়টি তাঁকে মুগ্ধ করেছে জানিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে যাতায়াতের জন্য সহযোগিতা চাইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস দিয়েছেন।