দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুপুর পর্যন্ত এসেছেন ৩০ জন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতে থেকে আসা বাংলাদেশি নারী-পুরুষদের একাংশ
ছবি: প্রথম আলো

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর হয়ে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আসতে শুরু করেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নারী-পুরুষ মিলে অন্তত ৩০ জন দেশে ফিরেছেন। কর্মকর্তারা জানান, আজ শেষ সময় পর্যন্ত শতাধিক নারী-পুরুষ প্রবেশ করতে পারবেন।  

এর আগে গত সোমবার প্রথম দিনে ৩ নারীসহ ১১ জন বাংলাদেশে আসেন। এঁদের মধ্যে ৯ জনকে চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লাহ এলাকায় অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) এবং দুজনকে শহরের ভিআইপি হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনাসহ দেশের তিনটি স্থলবন্দর ১৬ মে থেকে খুলে দেওয়া হয়।  আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৬ মে এনওসি জটিলতায় দর্শনা বন্দর দিয়ে একজনও প্রবেশ করেননি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ভারত থেকে একজন-দুজন করে যাত্রী দর্শনা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩০ জন প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশে আসার পর বন্দরেই তাঁদের স্ক্রিনিংয়ের পর করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, বিজিবি ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) তল্লাশি এবং পুলিশের অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) শাখার আনুষ্ঠানিকতা সারা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে  রাখা হবে।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে দুদিনে মোট ১১৮ জন অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছেন। এদের মধ্যে সোমবার ১১ জন প্রবেশ করেছেন। বাকি ১০৭ জনের মধ্যে বেশির ভাগই আজ প্রবেশ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।