দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগে আ.লীগ নেতা বহিষ্কৃত

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ওই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল শনিবার এ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বহিষ্কৃত হওয়া ওই নেতার নাম আবদুল আওয়াল ওরফে কয়েস। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল আওয়াল দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমানের বিপক্ষে কাজ করছেন—এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এদিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবদুল আওয়ালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট নগরের উপকণ্ঠে অবস্থিত দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার জন। গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান।

এক দফা তারিখ পিছিয়ে গত ২৮ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালতের নির্দেশনায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল। পরে ইসি আগামীকাল শনিবার এ আসনের ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করে। সব কটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে।

এখানে মোট প্রার্থী আছেন চারজন। তাঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি-কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)। জুনায়েদকে মাঠে দেখা না গেলেও অপর তিন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় তৎপর ছিলেন।