দুটি ফেরি বিকল, গাড়ির জট

ঘাটে গাড়ির সারি। গতকাল চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথের নরসিংহপুরেছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথের দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়েছে। ওদিকে মেঘনা নদীতে এখন তীব্র স্রোত। ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর (আলুর বাজার) ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পারাপার না হতে পেরে ঘাটে অন্তত ৪৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে যানবাহন পারাপারের জন্য সাতটি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি দুর্ঘটনায় পড়ে ফেরি কিশোরী। সেটিকে ধাক্কা দিয়েছিল একটি জাহাজ। আর স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে বিকল হয়ে পড়েছে ফেরি কস্তুরি। ওই দুটি ফেরি মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নদীতে পানি বাড়ার কারণে তীব্র স্রোত থাকছে। ফলে নরসিংহপুরের ঘাট থেকে ফেরিগুলো আগের পথ দিয়ে চাঁদপুরের ঘাটে পৌঁছাতে পারছে না। বর্তমানে ফেরিগুলো চাঁদপুরের বহরিয়ারটেক হয়ে উজানে গিয়ে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এতে নৌপথের দূরত্ব বেড়ে গেছে আগের চেয়ে পাঁচ কিলোমিটার। বর্তমানে নৌপথ পাড়ি দিতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। আগে এ নৌপথে প্রতিদিন গাড়ি পারাপার হতো ৪৫০ থেকে ৫০০টি। এখন করা যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০টি।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে যানবাহন শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে। তা ছাড়া বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর এবং মোংলা ও পায়রা নৌবন্দরের গাড়ি চলাচল করায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে সব সময়ই গাড়ির চাপ থাকে।

ওদিকে সম্প্রতি পদ্মা সেতুর পিলারে কয়েকবার ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ আসে। এর মধ্যেই পদ্মায় পানি ও স্রোত বেড়ে যায়। ফলে গত ১৮ আগস্ট থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে গাড়ির চাপ আরও বেড়ে যায়।

সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রামে পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাকচালক সেলিম মোল্যা। তিনি বলেন, দুদিন ধরে ট্রাক নিয়ে তিনি ঘাটে আটকা আছেন। ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ালে তাঁদের দুর্ভোগ কমত।

বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল মোমেন বলেন, পরিস্থিতি সামলাতে বুধবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি ফেরি আনা হয়েছে। এতে গাড়ির জট কিছুটা হলেও কমবে বলে তিনি মনে করছেন।