মাহমুদুলের বাবা শাকের আলী বলেন, এগুলো দিয়ে অন্তত এক সপ্তাহ ছেলেকে খাওয়াতে পারবেন।
সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার নামের চার বছরের দুই যমজ বোনকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেল। আশ্রয়কেন্দ্রের ঠাঁই নেওয়া ৮ বছরের শিশু কয়েস আহমদ ও ১৫ বছরের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এখলাস আহমদও বেশ খুশি। এই দুজনের বাবা ট্রাকশ্রমিক আবদুল কাদির বলেন, ‘বড় ছেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় ছোট থেকে সাদা ভাতের সঙ্গে দুধ ও চিনি দিয়ে খাবার খাওয়াতাম। এখনো এভাবেই চলে। কিন্তু বন্যার কারণে এখন দুধ আনা তো দূরের কথা, চাল-ডালও ঠিকমতো আনতে পারি না। কয়েক দিন ধরে ভাতের সঙ্গে চিনি দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে এখলাসকে। এখন প্যাকেট গুঁড়া দুধ পেয়ে মনে শান্তি লাগছে। ছেলে এখন সপ্তাহখানেক দুধভাত খেতে পারবে।’
শিশুখাদ্যের প্যাকেট বিতরণের আগে বক্তৃতা করেন বাদাঘাট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহমদ আলী ও পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল বাশার। এ সময় তাঁরা শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে এবং খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন। বন্যার মধ্যে রোগবালাই থেকে কীভাবে সুরক্ষা থাকা যায়, সে বিষয়ে শিশুদের অভিভাবকদের সচেতন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো সিলেট বন্ধুসভার সভাপতি হুমাইরা জাকিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মিহরাব আহমেদ চৌধুরী, বইমেলা সম্পাদক রাহুল রাজনাথ, পাঠচক্র সম্পাদক দৃষ্টি বর্মণ, ম্যাগাজিন সম্পাদক গায়ত্রী বর্মণ, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শ্রেয়ান ঘোষ প্রমুখ।
অনুদান
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ১১ লাখ টাকা প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার টাকা অনুদান পাঠিয়েছেন।
বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশানের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।