কাপড় বানানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মোছা. শান্তার (২২) তিন বছর বয়সী ছেলে আল সাইম বাড়ির সবাইকে প্রশ্ন করছিল, মা কখন আসবে? এ কথা শুনে গতকাল রোববার গাজীপুরের কাপাসিয়ার সনমানিয়া গ্রামের ব্যাপারীপাড়া এলাকায় শান্তার বাড়িতে আসা সবার চোখ আর্দ্র হয়ে যায়।
গত শনিবার নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোছা. শান্তার মৃত্যু হয়। একই দুর্ঘটনায় তাঁর ননদ নাজমা বেগমও (২১) মারা যান। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্তার ভাই সোহেল রানা (২৫)। তাঁরা তিনজন একই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা এলাকায় তেলবাহী একটি লরি তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
শান্তার মা শরিফা বেগম বলেন, নাতি সাইমের মুখের দিকে তিনি তাকাতে পারেন না। ছেলেটা এত ছোট বয়সে মা–হারা হলো। তিনি বলেন, শান্তা চেয়েছিল কাজ করে সংসারের আয় বাড়াতে। সেলাইয়ের কাজ সে খুব ভালো জানত। বাড়িতেই পোশাক তৈরির কাপড় বিক্রি এবং সেলাইয়ের কাজ শুরু করবে বলে পাঁচদোনায় গিয়েছিল। দুই–এক দিনের মধ্যেই ব্যবসা শুরুর কথা ছিল তার। কিন্তু দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল।