দুর্নীতির মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তার ৮ বছরের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি। প্রথম আলো

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুর্নীতির মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক এক কর্মকর্তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম হুমায়ুন কবির। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক প্রিন্সিপাল এপ্রেইজার (আমদানি) ছিলেন। সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একইসঙ্গে আসামিকে এক কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি হুমায়ুন কবির জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অর্থদণ্ডের টাকা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করে দুদক। এতে বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অতিরিক্ত) সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন।