দেশে উগ্র জঙ্গিবাদ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে

আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশ শাসন করছে, তাতে দেশে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো উগ্র জঙ্গিবাদের সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা ফিরে যাওয়ার আগে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে অনিশ্চয়তা-অস্থিতিশীলতা আওয়ামী লীগের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের কথা বলে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তখন তারা বর্ণচোরা রাজনীতি করেছিল। আজকেও তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে তারা পুরোপুরি বর্ণচোরায় পরিণত হয়েছে।
ভাস্কর্যবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বি সিদ্দিকী সাহেব বারবার এটা করে আসছেন। তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মানহানির মামলা করা। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সব সময় মামলার মধ্যে রাখা—এটা সেই পরিকল্পনারই অংশ। যখন তাঁরা জনগণের সম্মুখীন হতে পারেন না, জনগণকে ভয় পান; অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পান, তখন মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে তাঁরা রাজনীতি করতে চান। ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। এটা সেই গ্রাম্য মোড়লের মতো, যার কাজই হচ্ছে মামলা দিয়ে জনগণকে অস্থির করে রাখা। এসব মিথ্যা মামলাগুলো প্রমাণ করে, তাঁরা কীভাবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পরিকল্পনা করছেন। এটাকে বলে প্রজেক্ট।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলনেই আছি। স্বৈরশাসকেরা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন জনগণের শক্তি দিয়ে তাদের অবসান ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে একটু সময় লাগে। সেই সময়টা অবশ্যই ঘনিয়ে এসেছে। জনগণ এখন প্রস্তুত হয়েছে আরও বড় রকমের আন্দোলনে যেতে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদীদের উত্থান প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রকে যখনই দাবিয়ে রাখা হয়, বিরোধী দলকে যখন কাজ করতে দেওয়া হয় না; তখনই এই উগ্রবাদের উত্থান ঘটে। সেটাই আওয়ামী লীগ করছে জেনেশুনে। আওয়ামী লীগের কারণে দেশে উগ্রবাদের উত্থান হচ্ছে।
দেশে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো উগ্র জঙ্গিবাদ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশ শাসন করছে, তাতে দেশে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। যখন এটা দমন না করে বিরোধী গণতান্ত্রিক দলগুলোকে কাজ করার সুবিধা দেয় না, তখনই বোঝা যায় সরকার এটাই চাইছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম, নুর ই শাহাদাৎ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ প্রমুখ।