দেড় বছরের নির্মাণকাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি

টাঙ্গাইলের সখীপুরের নলুয়া বাছেত খান উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবন। সম্প্রতি তোলা
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের সখীপুরের নলুয়া বাছেত খান উচ্চবিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণকাজে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণকাজ দেড় বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও তিন বছরেও তা শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিকল্প ভবন না থাকায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের সংকটে পড়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ।

জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন ২০১৮ সালের জুন মাসে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে নলুয়া বাছেত খান উচ্চবিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স শাকিল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ টাকা। কাজটি ৫৪৮ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার শর্ত দেওয়া হয়। ঠিকাদার ২০১৯ সালের শেষের দিকে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ শুরুর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ বাকি রয়ে গেছে। নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের কেবল ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি কাজ কবে নাগাদ শেষ করা হবে, এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকেরা কেউ কিছুই বলতে পারছেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে কাজটি শুরু করলেও করোনার অজুহাতে মাঝেমধ্যেই কাজ বন্ধ রাখে। ফলে বর্তমানে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় আমরা শ্রেণিকক্ষের সংকটে পড়েছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসংখ্যা ১ হাজার ২৫। একসঙ্গে সব ক্লাস চালাতে গেলে ১৩টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। আছে আটটি। বাকি ক্লাস পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিতে হচ্ছে।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদের সহোদর এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও নির্মাণকাজটি ধীরগতিতে হচ্ছে। জানতে পারলাম, ঠিকাদার কাজটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করেছেন। এখন রড, সিমেন্টের দাম বাড়ায় ক্রয় করা ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছেন।’

মেসার্স শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাকিল আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও ফান্ডিং সমস্যায় কাজটি যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুতই অসমাপ্ত কাজ শেষ করা হবে। অন্য ঠিকাদারের কাছে কাজ বিক্রি করার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ঠিকাদার বিষয়টি এড়িয়ে যান।