দৌলতদিয়া ঘাটে আজও ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে
ছবি: এম রাশেদুল হক

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আজ শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা ফেরিতেও যানবাহনের সঙ্গে মানুষের ভিড় লেগেই আছে।

আজ সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে যাতায়াত করেছেন। কারও কারও কোলে আবার শিশুসন্তান আছে।

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের মধুখালীর নজরুল ইসলাম। তাঁর দুই হাতে ব্যাগ, সঙ্গে দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী। মধুখালী থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঘাটে আসেন তিনি। নজরুল বলেন, ‘কাল রোববার থেকে অফিস করতে হবে। তাই আজ পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।’

গাজীপুরের মাওনা থেকে কর্মস্থল মাদারীপুর ছুটছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের সপ্তাহব্যাপী ছুটি শেষ। ঈদের আগে বাড়ি গিয়েছিলেন। রোববার থেকে আবার অফিস শুরু হবে। তাই কর্মস্থলে ফিরছেন।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে সাভার যাচ্ছিলেন আবুল হোসেন। দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। ফেরির পন্টুনে ওঠামাত্র ফেরি ছেড়ে দিলে তাড়াহুড়া করে পন্টুন থেকে লাফ দিয়ে ফেরিতে উঠলেও তাঁর কাঁধ থেকে ব্যাগটি পানিতে পড়ে যায়। পরে তিনি লাফ দিয়ে পন্টুনে নামেন। তিনি বলেন, জরুরি কাজে সাভারে যাচ্ছেন। পন্টুনে উঠতেই ফেরি ছেড়ে দেওয়ায় লাফ দিয়েছিলেন। তবে এভাবে লাফ দেওয়া ঠিক হয়নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, আজ শনিবার হয়তো শেষ ভিড় হতে পারে। ঈদের ছুটি সপ্তাহব্যাপী কাটিয়ে এখন সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছেন। রোববার থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।