ধরমপাশায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ শূন্য, আটকে আছে বেতন–ভাতা

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি দুই মাস ধরে শূন্য। এতে চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী, আয়াসহ ৮৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঝন্টু সরকার অন্যত্র বদলি হন। এরপর থেকে এই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাদবীর জামান। কিন্তু তিনি আয়-ব্যয় কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাননি। এ অবস্থায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ ৮৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বেতন-ভাতাদি তুলতে পারেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির দুজন কর্মচারী বলেন, বেতনের ওপর নির্ভর করেই তাঁদের সংসার চলে। দুই মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় ধারদেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তাঁরা।

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য এবং ধরমপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবায়ের পাশা ওরফে হিমু বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি শূন্য থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাদি তুলতে পারছেন না। চিকিৎসাসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাদবীর জামান বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন শামস উদ্দিন আজ শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে একজনকে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তবে তিনি এখনো যোগ দেননি।