ধুনটে বসতঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

লাশ
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চরজোলাগাতি গ্রামে স্বামীর ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম মিথিলা খাতুন (২২)। তাঁর বাবার ভাষ্য অনুযায়ী, দাম্পত্য কলহের জেরে মিথিলাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখেন স্বামী ইয়ামিন সরকার (২৫)। এ ঘটনায় ইয়ামিনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পিন্ডারহাটি গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে মিথিলা খাতুনের প্রায় সাত বছর আগে চরজোলাগাতি গ্রামের সাইফুল সরকারের ছেলে ইয়ামিন সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের তিন বছরের মাথায় প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে ইয়ামিনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে ক্ষুব্ধ হন মিথিলা। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ইয়ামিন সরকার বিভিন্ন সময়ে মিথিলাকে মারধর ও নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় সালিসি বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাঁদের আবার ঝগড়া হয়। এ সময় ইয়ামিন মিথিলাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানো চেষ্টা করেন।

নিহত মিথিলার বাবা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার মেয়েকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে ইয়ামিন। পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। এর আগেও আমার মেয়েকে মারধর করে মাথার চুল কেটেছে, প্রস্রাব খাইয়েছে, শরীরে সিগারেটের ছেঁকা দিয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীর মাধ্যমে দফায় দফায় সালিস করেছি, তাতে কোনো কাজ হয়নি।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর বেশি তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করবেন ওই গৃহবধূর বাবা।