ধুনটে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক নবনির্বাচিত মেয়র বাদশাহর

বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকায় আগামীকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন নবনির্বাচিত পৌর মেয়র এ জি এম বাদশাহ। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তিনি এই হরতালের ডাক দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ বণ্টন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সঙ্গে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বিরোধ চলছে। এ কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান গত ডিসেম্বর মাস থেকে পরিষদের সমন্নয় সভায় উপস্থিত থাকেন না। এতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা চেয়ারমান আব্দুল হাই খোকনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের হল রুমে বৈঠকে বসেন।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের পক্ষের নেতা–কর্মীরা ওই বৈঠকটি ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ঘটনাটি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে আব্দুল্লাহ হারুন বাদী হয়ে ধুনট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র এ জি এম বাদশাহকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করেন। সোমবার দুপুরে এ জি এম বাদশাহ আদালত থেকে এই মামলার জামিন নিয়েছেন।

এর আগে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত রোববার সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেন মেয়র এ জি এম বাদশাহ। সেই সমাবেশ থেকে তিনি ধুনট পৌর এলাকায় বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন।

এ জি এম বাদশাহ বলেন, ৩০ জানুয়ারি ধুনট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। তাই ওই মহল ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহিংসায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ঘটনার দিন তিনি চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহরে অবস্থান করছিলেন। সাধারণ ভোটারদের দাবির মুখে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে হরতালের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মেয়র এ জি এম বাদশাহর কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন