ধুলায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

ধুলাবালিতে আশপাশে কিছু দেখা যায় না। রংপুর নগরের মুন্সিপাড়ায় গতকাল
ছবি: মঈনুল ইসলাম

ফাল্গুন মাসের বাতাস বইছে। কখনো হালকা, আবার কখনো চক্কর দিয়ে ঘুরছে বাতাস। রংপুরে বিভিন্ন সড়কের পাশে জমে থাকা ধুলাবালিতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাসাবাড়িতেও ধুলা উড়ে গিয়ে পড়ছে। ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। এই পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন হাত গুটিয়ে বসে আছে বলে অভিযোগ তাঁদের। ধুলার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরী ঘুরে ধুলাবালিতে নাকাল নগরবাসীর সঙ্গে কথা হয়। নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজ থেকে লালবাগ, কলেজ রোড হয়ে শাপলা চত্বর এলাকায় দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে জমে থাকা বালু বাতাসে উড়ছে। এ সময় রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চলাচলকারী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না রহমান বলেন, ধুলার যন্ত্রণায় মাস্কের সঙ্গে চোখে চশমা পরতে হয়। আর না হলে চোখমুখ ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

শুধু নগরীর প্রধান সড়কেই এমন দুর্ভোগ নয়। পাড়ামহল্লার রাস্তাগুলোতে ধুলার যন্ত্রণায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। মুন্সিপাড়া সড়ক যেন ধুলার রাজ্য হয়ে উঠেছে। যেখানে-সেখানে নির্মাণসামগ্রী বালু, ইট পড়ে থাকার কারণে ধুলার পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।

মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া আক্তার বলেন, ধুলা থেকে বাঁচতে পাড়ার ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। তাতেও রেহাই মিলছে না।

নগরের ধাপ কটকিপাড়া, কেরানীপাড়া, মাস্টারপাড়া, শালবন, কামালকাছনা এলাকার সড়কে দেখা যায়, ধুলাচ্ছন্ন সড়কে ভোগান্তি নিয়ে চলছে যানবাহন ও মানুষ। সড়কের পাশের দোকানদারেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা পানি ছিটিয়ে আশপাশ ধুলামুক্ত করার চেষ্টা করছেন। শহরের ব্যস্ততম এলাকা কাচারি বাজার এলাকার ব্যবসায়ী তবারক আলী বলেন, পানি না ছিটালে দোকানে বসে থাকায় যায় না। ধুলায় ঘর ভর্তি হয়ে যায়।

সিটি করপোরেশন ধুলাবালি রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। তাঁরা সিটি করপোরেশন থেকে সড়কে নিয়মিত পানি ছিটানোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নিজেরাও দেখতে পাচ্ছি সড়কে মাত্রাতিরিক্ত ধুলা উড়ছে। সিটি করপোরেশন থেকে গাড়ি দিয়ে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গাড়ি পর্যাপ্ত না হওয়ায় পুরো শহরে পানি ছিটানোর এই কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।’