নরসিংদীতে মাইক্রোবাস-ট্রাকের সংর্ঘষে নিহত ৫, আহত ৭
নরসিংদী সদর উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই শিশুসহ মাইক্রোবাসের অন্তত পাঁচ যাত্রী নিহত ও সাত যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১২টার দিকে ঘোড়াশাল-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের মাধবদী থানার পাঁচদোনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত যাত্রীদের সবার বাড়ি ঢাকার আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় এবং তাঁরা পরস্পরের আত্মীয়।
নিহত যাত্রীরা হলেন মুক্তি আক্তার (৩০) ও তাঁর ছেলে সাদেকুল (৮), রুবি আক্তার (৪০) ও তাঁর মেয়ে রাহিমা (৩) এবং রোকেয়া বেগম (৫২)। এ ঘটনায় রাহিমার বাবা রশিদও আহত হয়েছেন। পুলিশ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে নিহত হন মুক্তি ও রাহিমা। আর নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাদেকুল এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান রুবি ও রোকেয়া।
পুলিশ আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, ওই মাইক্রোবাসে চালকসহ ১৪ জন ছিলেন। যাত্রীরা পরস্পরের আত্মীয়। তাঁরা সিলেটে মাজার জিয়ারতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে পাঁচদোনার সাকুরার মোড়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
আহত যাত্রীরা হলেন রাজিয়া (৪০), সাইফা (১২), ইসরাত জাহান (৮), সামসুন্নাহার (৬০), শারমিন (৩৫), রশিদ (৪০) ও কাজীমুদ্দীন (৫২)। প্রথমে তাঁদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার গুরুতর বিবেচনায় চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে পথে মৃত্যু হয় রুবি আক্তারের। আর ঘটনাস্থল থেকেই রোকেয়া বেগমকে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর স্বজনেরা। কিন্তু ঢাকার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, শনিবার সকালে মাইক্রোবাসের এই যাত্রীরা আশুলিয়া থেকে সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা সেখানে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)–এর মাজার জিয়ারত করেন। ফেরার পথে পাঁচদোনার সাকুরার মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিশু সাদেকুলসহ নয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই সাদেকুলের মৃত্যু হয়। আহত আটজনের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক জানান, এ দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে।