নরসিংদীতে মেঘনার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস, বালুর বস্তা ফেলে রক্ষার চেষ্টা

বাঁধের ধসে যাওয়া অংশে ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। আজ সোমবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুরে
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুরে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশের ব্লক ধসে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে আপাতত বালুভর্তি বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সেনাবাহিনী।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে করিমপুর ইউনিয়নের শুটকিকান্দির রসুলপুর গ্রামে মেঘনা নদীর প্রবল ঢেউয়ে এসব ব্লক ধসে নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করে।

করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান বলেন, মেঘনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় তীব্র ঢেউয়ে বাঁধের এই অংশে ভাঙন শুরু হয়। এর ফলে ভয়াবহ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে রসুলপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। বাড়িঘর, গাছপালা ও গবাদিপশু নিয়ে আতঙ্কে আছেন তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে তীব্র স্রোতের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ করেই একে একে ব্লক ধসে পড়তে শুরু করে। রাত ৯টার মধ্যে বাঁধটির অন্তত ১০০ মিটার স্থানজুড়ে থাকা ব্লকগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ব্লকের নিচে থাকা বালু সরে যেতে থাকলে ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাউবোর কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। পরে তাঁরা রাত থেকেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় মেরামতকাজ শুরু করেন।

আজ বেলা তিনটায় সরেজমিন দেখা যায়, ধসে পড়া অংশ মেরামতে কাজ করছেন পাউবো ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কয়েকটি বাল্কহেডে করে বালু এনে শ্রমিকেরা শত শত প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বালুর বস্তা তৈরি করছেন। সেসব বস্তা ঢালু করে একটার ওপর আরেকটা ফেলা হচ্ছে ধসে পড়া অংশে।

নরসিংদী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, বৃষ্টির পানি ব্লকের ফাঁক গলে নদীতে পড়ার কারণে এর নিচের মাটি হয়তো দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় বড় ধরনের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। ধসে পড়া অংশে বালুভর্তি বস্তা ফেলে আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন এলাকায় ব্লক বসিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।