নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী: বাহাউদ্দিন নাছিম
নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আজ শনিবার দুপুরে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন ড. ইউনূসসহ খালেদা জিয়া অপপ্রচার চালিয়ে ছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের একটাই স্বপ্ন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। এখনো পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। শেখ হাসিনা যা চান, করে দেখান। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সেখানে আনন্দ মেলা হবে। ১০ লাখ মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের এই ধারা আমাদের চলমান রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে দলাদলি করা যাবে না। দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা আমরা মেনে নেব। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে স্বরূপকাঠি কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সদস্য আনিচুর রহমান ও গোলাম রব্বানী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আলম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ সহিদ উল আহসান প্রমুখ।
সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হন।