নান্দাইলে জমি নিয়ে বিরোধে শিক্ষককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ

ময়মনসিংহ জেলার মানচিত্র

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় প্রতিপক্ষের লোকজন মো. টিপু সুলতান (৪৫) নামের এক কলেজশিক্ষক কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের শিয়ালধরা বাজারের কাছে এক মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত টিপু সুলতানকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টিপু সুলতান নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের উদং গ্রামে। তিনি খুররম খান চৌধুরী কলেজের শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক।

টিপু সুলতানের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন জানান, নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের পাশে অবস্থিত শিয়ালধরা বাজারের একখণ্ড জমি নিয়ে উদং গ্রামের প্রতিবেশী মো. রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে টিপু সুলতানের বিরোধ চলছে। এটি নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন ও তাঁর ভাইয়েরা সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও পরে ওই অবস্থান থেকে সরে আসেন।

আজ সকালে রিয়াজ উদ্দিন তাঁর লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা হেলে পড়া ঘর মেরামত করতে যান। এ সময় টিপু সুলতান গিয়ে সালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘর মেরামত না করতে বলে নিজের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন তাঁর লোকজন নিয়ে বাজারে অবস্থান করতে থাকেন। দুপুরে স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে টিপু সুলতান বাজারে দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রিয়াজ উদ্দিনের লোকজন তাঁকে ঘেরাও করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে চলে যান।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য রিয়াজ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, ‘ওই জমিটি আমাদের কেনা। ফলে সেখানে ঘর তোলার অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু টিপু সুলতান এতে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। মারামারিতে আমার দেবর স্কুলশিক্ষক নাছির উদ্দিন আহত হয়েছেন।’

জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শিয়ালধরা বাজারের জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন কমবেশি আহত হয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে।