নারায়ণগঞ্জে ৮ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আদালত
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন, কৃষিজমিতে উপরিভাগের মাটির ব্যবহার ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় আটটি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (পরিবেশ) মো. কাউছার আলম তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরিবেশ আইনে মামলাটি করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

আসামিরা হলেন রূপগঞ্জ উপজেলার তারাইল এলাকার এআরবি-১, এআরবি-২ ও মেসার্স বিআরবি ব্রিকস ফিল্ডের পরিচালক মো. আলীম উদ্দিন, মেসার্স বিআরবি-১ ও মেসার্স বিআরবি-২-এর পরিচালক মো. পনির হোসেন, মেসার্স এমএম ব্রিকস ও মেসার্স পিআরবি ব্রিকসের পরিচালক মো. দেলোয়ার মোল্লা, কেবিএম ব্রিকস ফিল্ডের পরিচালক মো. ইলিয়াস জাকারিয়া।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ৯ মে আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন মো. আলমগীর নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। আজ শুনানিতে আলমগীরের জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শুনানিকালে কেন এত দিন তাঁদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি, সে বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তাই আদালত বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি নিয়ে আট ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় বলা হয়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, কোনো পৌর এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা বেআইনি। তবে কাঞ্চন পৌরসভার মধ্যে ওই ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ এলাকায় ভাটা স্থাপন, কৃষিজমিতে উপরিভাগের মাটির ব্যবহার ও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকার অভিযোগ আছে। এর আগেও তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।

আদালতের সাঁটলিপি মুদ্রাক্ষরিক অপারেটর (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল মীর বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘনের দায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি গ্রহণ করেছেন আদালত। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন।