নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে মেয়র পদ ছাড়লেন আইভী

মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। মঙ্গলবার নগর ভবনে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে শেষ কর্মদিবস ছিল তাঁর। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আইভী।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র আইভী মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে তিনি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদায় নেন। মেয়র হিসেবে শেষ কর্মদিবস কাটিয়েছেন তিনি।

সিটি করপোরশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের নতুন ভবনের পঞ্চম তলায় একটি প্রকল্পের প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাইবিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সেখানে তিনি বলেন, মেয়র পদ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।

সভায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা অতীতে যেভাবে কাজ করেছেন, সেভাবেই কাজ করবেন। আপনারা কোনো ধরনের ফাঁকি দেবেন না। আমি আপনাদের সাথে অনেক সময় হইচই করেছি। সেটা কিন্তু একদমই কাজের স্বার্থে, নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে। আমাদের অনেক মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে, যেগুলো আমরা শেষ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি এখানে থাকব না, হয়তো অন্য আরেকজন আসবে বা আমিই আসব। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে হবে।’

২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও কদম রসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। সেই নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন।

গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফশিল অনুযায়ী, আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের পুরো সিটি নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।