নিখোঁজের ৯ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে নিখোঁজের নয় দিন পর এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাকিব আল মামুন (১৮) সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। তিনি আমিনবাজার এলাকার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৭ মার্চ নিখোঁজ হন সাকিব। পরে ওই দিন সাভার মডেল থানায় জিডি করেন সাকিবের পরিবারের সদস্যরা। এরপর বিভিন্ন সময়ে সাকিবের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর বড় ভাইকে মেসেজ পাঠিয়ে সে বিয়ে করেছেন এবং বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানানো হয়।

শনিবার সকালের দিকে সাকিবের বাড়ির কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা কিছুর গন্ধ পান কয়েক শ্রমিক। পরে তাঁরা স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১২ ফুট গভীর সেপটিক ট্যাংক থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সাকিবের পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। তারা মরদেহের পরনের গেঞ্জি, জুতা এবং প্যান্ট দেখে সাকিবকে শনাক্ত করেন।

সাকিবের বড় ভাই রাকিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাকিব ১৭ মার্চ থেকে নিখোঁজ। এরপর তাঁর ৩ জন বন্ধু আমাকে কল দেয়। তাঁরা সাকিবকে নিয়ে ‘‘সে নাই, কোথায় চলে’’ গেছে এমন নানা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে। সাকিবের মেসেঞ্জার আইডি দিয়ে ‘‘আমি মেয়ে নিয়ে আসছি’’, ‘‘কয়দিন পর আসবো’’ এমন মেসেজ দিয়ে কেউ আমার সাথে চ্যাট করত। আমার ধারণা ওই তিনজনই এমন করেছে। ওরাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

সাভারের ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।