নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় জামায়াত সমর্থকসহ গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দুদের মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত সমর্থক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউপির জামায়াত সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ (৫০) এবং বেগমগঞ্জের কালিকাপুর গ্রামের মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৯), আলীপুর গ্রামের মো. আবু তালেব (৪৭) ও হাজীপুর গ্রামের মো. ফরহাদ (২৭)।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে রোববার বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত নেতা ও বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে রোববার রাতে সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী আরও জানান, গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছাড়াও সম্প্রতি সরকারবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ১৫ অক্টোবর চৌমুহনীতে হিন্দুদের মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ইসকন–ভক্ত নিহত হন।