নোয়াখালীতে এক দিনে আরও ১০৪ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের তুলনায় জেলায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে এই সময়ে জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার তিনটি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৪৪৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ১০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ১০৪ জনের মধ্যে ৫১ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা।

আর বাকি শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাতিয়ার ১ জন, বেগমগঞ্জের ২৩ জন, সোনাইমুড়ীর ৩ জন, চাটখিলের ৩ জন, সেনবাগের ৩ জন, কোম্পানীগঞ্জের ৯ জন ও কবিরহাটের ১১ জন রয়েছে। সূত্র জানায়, নতুন শনাক্ত রোগীসহ জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৬৭। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২১২ জন। মারা গেছেন ১২৯ জন।

আগের দিনের তুলনায় জেলায় সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘ওই দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কম ছিল। ৭২টি নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে, তাই শনাক্তের হারও অনেক বেড়ে গেছে।’

এদিকে শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের ১২০ শয্যা কোভিড-১৯ ডেডিকেডেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সমন্বয়ক নিরুপম দাশ প্রথম আলোকে বলেন, কোভিড হাসপাতালে ৪৮ জন করোনা রোগী এবং ১৮ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে তৃতীয় সপ্তাহের লকডাউন চলমান। লকডাউনের বিধিনিষেধ মানতে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন জানান, লকডাউন শুরুর আগে জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ছিল ৩৪ শতাংশ। তা এখন কমে ২৩ শতাংশে এসেছে। চলমান লকডাউনে সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।