নোয়াখালীতে নিখোঁজের এক দিন পর পুকুর থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নিখোঁজের এক দিন পর বাড়ির পুকুর থেকে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত ছাত্রের নাম মো. সিফাত হোসের (১৬)। সে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের প্রবাসী আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে। সিফাত স্থানীয় লর্ড লিওনার্ড চেশায়ার উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সিফাত হোসেন। এরই মধ্যে ঘরে বই, খাতা ও ব্যাগ রেখে বের হয়ে যায় সিফাত। দিনভর পরিবারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি এলাকার কাউকে জানানো হয়নি। পরে আজ ভোরে সিফাতের মা ফজরের নামাজের অজু করতে বাড়ির পুকুরঘাটে গিয়ে লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার দেন। পরে বাড়ির লোকজন এসে লাশ উদ্ধার করেন। এরপর বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনায়েত উল্যাহ নিহত সিফাতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, সিফাতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তিনি তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের মৃগীরোগ ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ওই রোগে হয়তো সিফাতের মৃত্যু হতে পারে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত স্কুলছাত্র সিফাত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে বাড়ির পুকুরে তার লাশ পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত সিফাত মৃগী রোগী বলা হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।