নোয়াখালীতে বাড়ির পেছনে পড়ে ছিল মা-মেয়ের নিথর দেহ

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একটি বাড়ির পেছনের বাগান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মা-মেয়ের লাশ দুটি হাতিয়া থানায় রাখা হয়েছে। কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। তবে নিহত মা–মেয়ের স্বজনদের ধারণা, মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ বলছে, তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

গৃহবধূর ভাইয়ের ভাষ্য, তাঁর বোনের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। ওই সংসারে তাঁর দুটি মেয়ে আছে। আর দ্বিতীয় সংসারের মেয়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর স্বামী ওমানপ্রবাসী। তাঁর বোনের সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝগড়াবিবাদ রয়েছে। এ নিয়ে কয়েক দিন আগে স্থানীয়ভাবে একটি সালিসও হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মৃতদেহ দুটির শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে লাশ দুটি বসতঘরের পাশে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দুজনের শরীরেই হালকা কাদামাটি লেগে ছিল।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওই নারীর হাঁস-মুরগি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। নারীর লাশের পেটিকোটের পকেটে ১০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সঙ্গে থাকা স্বর্ণের গয়নাগুলো খোয়া যায়নি। তবে নারীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে স্বজনদের সন্দেহের বিষয়টি তাঁরাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ময়নাতদন্তকালে ধর্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবেন। উদ্ধার করা লাশ আগামীকাল সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।