নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় আরও ৬ জন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকান ও বাড়িঘরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি, ছাত্রলীগ ও জাসদ সমর্থক আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে জেলার বেগমগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের বিএনপির সমর্থক বেলাল হোসেন (৫৫), ছাত্রলীগ সমর্থক করিমপুরের মো. হেলাল (২৫), জাসদ সমর্থক বাহারুল আলম ওরফে সুমন (৪২), চৌমুহনী পৌরসভার টি অ্যান্ড টি কলোনির বিএনপি সমর্থক মো. আরিফ (২১), গণিপুরের বিএনপি সমর্থক আবদুর রহিম (৪০) ও কবিরহাট উপজেলার জৈনদপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন ওরফে জুয়েল (১৯)। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাহারুল আলম মন্দিরে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বাকি পাঁচজনের মধ্যে বেলাল, হেলাল ও আরিফকে ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং জালাল উদ্দিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়।

তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সোনিয়া আক্তার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন সোহরাব হোসেন (৩৩), হারুনুর রশিদ (৪৫) ও মো. মনু (৩৩)। বুধবার একই আদালতে আটজন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় ১৪ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করলেন আদালত।

কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন রাখার খবরের জেরে ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয়েছেন ইসকনের দুই ভক্ত। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ২৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।