নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে গণ–অনশন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ডাকে গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়। আজ সকালে চৌমুহনীর ব্যাংক রোডের রাধা মাধব জিওর মন্দিরে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দির, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং ইসকনের দুই ভক্ত নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে চৌমুহনীর ব্যাংক রোডের রাধামাধব জিওর মন্দিরে এ গণ–অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি।

সকাল ১০টার দিকে রাধামাধব জিওর মন্দিরে সরেজমিনে দেখা যায়, ‘মঠ-মন্দির ভাঙে যারা, দেশ-জাতির শত্রু তারা’, ‘পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’, ‘হত্যা-ধর্ষণ–অগ্নিসংযোগের বিচার চাই, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত ব্যানার–পোস্টার নিয়ে মন্দির ও পূজা উদ্‌যাপন কমিটির নেতাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন গণ–অনশনে শামিল হন।

গণ–অনশনে বক্তব্য দেন নয়টি উপজেলা থেকে আগত পূজা উদ্‌যাপন কমিটি ও বিভিন্ন মন্দিরের নেতারা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সদস্যসচিব পাপ্পু সাহা প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ছয়টা থেকে নোয়াখালীতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন। পরে হিন্দুদের দোকানপাট, মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় ইসকনের ভক্ত যতন সাহা (৪২) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬) নিহত হন। আহত হন চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক।