নোয়াখালীতে শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আজ শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকাল থেকে প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।

প্রায় আধা ঘণ্টার কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন, চর এলাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, গত বছর ৯ মার্চ রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা ভবনের পাশে গুলি করে হত্যা করা চর ফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে। ওই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে আলাউদ্দিনের খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রুপালি চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৯ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগ সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শ্রমিক লীগের নেতা আলাউদ্দিন।