নৌকাডুবির ঘটনায় চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদের লইছকা বিলের পাড়ে সারি করে রাখা লাশ
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদের লইছকা বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকাল থেকে এ পথে নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। এতে চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। তবে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত নতুন করে কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি।

নৌকাডুবির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন তদন্ত কমিটির প্রধান। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পত্তন ও মণিপুর গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন। শহর থেকে বিভিন্ন মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন। চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী কোনো নৌযান চলাচল করতে দেখা যায়নি। মানুষকে বাধ্য হয়ে সড়কপথে শহরে যেতে হচ্ছে।

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রাবেয়া আফছার প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস নদে নৌকাডুবির ঘটনায় উপজেলার চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নৌযান চালু করা হবে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ছয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদে বালুবাহী নৌকার সঙ্গে যাত্রীবাহী নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ২১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৮ নারী ও ৭ শিশু রয়েছে।