নৌকার মাঝি হতে চান ১০ জন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয়ভাবে ১০ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কেন্দ্রের কাছে তাঁদের সবার নামই পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ বলেন, মেয়র পদে নির্বাচন করতে ১০ জন মনোনয়ন চেয়েছেন। ১০ জনের নামই জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে যোগ্য মনে করবেন, তাঁকেই মনোনয়ন দেবেন।

১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মিছবাহ্‌ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও জেলা কৃষক লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল হক, পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. এখলাছ উদ্দিন।

মিছবাহ্‌ উদ্দিন বলেন, গত বছর দল তাঁকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলেও দলীয় কোন্দলে তিনি হেরে গেছেন। এবারও আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদী।

স্থানীয় লোকজন বলেন, ২০০৭ সালে পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর পাকুন্দিয়া পৌরসভায় এবার তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। পাকুন্দিয়া পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর। এতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। অন্যদিকে পৌরসভার প্রথম মেয়র মো. জালাল উদ্দিন। তাঁরা দুজন নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

বর্তমান মেয়র আক্তারুজ্জামান সর্বশেষ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও নির্বাচন করায় পাঁচ বছর আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবারও তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন বলেন, গত বছর তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে ভোট ভাগাভাগির কারণে তিনি হেরে যান। এবার দল থেকে নির্বাচনের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ভোটাররা চাচ্ছেন, তিনি যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হলেও নির্বাচনের মাঠে থাকেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর। এ পৌরসভায় মোট ভোটারসংখ্যা ২৩ হাজার ১৩০।