নৌকা জিতবেই, শতভাগ নিশ্চিত: আইভী

নারায়ণগঞ্জের  শিশুবাগ স্কুলে বেলা ১১টার  কিছু আগে  ভোট দেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী
ছবি: দিনার মাহমুদ

ভোট দিয়ে নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হলে বিজয়ী হব। নৌকা জিতবেই। জয়ের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত।’

আজ রোববার নগরের শিশুবাগ স্কুলে বেলা ১১টার কিছু আগে ভোট দেন আইভী। তিনি বলেন, ‘ফলাফল যা–ই হোক মেনে নেব।’

এর আগে ভোট দিয়ে নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইভীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানের জয়ী হব।’

ভোট দেওয়ার পর আবার আইভীও ভোটে জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আইভী বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাচ্ছি। যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে আমার লোকগুলো ভোট দিতে পারে। আমি শতভাগ নিশ্চিত নৌকা ইনশা আল্লাহ জিতবেই। আইভী ইনশা আল্লাহ জিতবেই।’

কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দেওয়ার গতি কমে যাওয়ার বিষয় নিয়েও কথা বলেন আইভী। তিনি যান্ত্রিক সমস্যা দূর করার আহ্বান জানান। আইভী বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গার খবর পাচ্ছিলাম স্লো কাস্টিং হচ্ছে। ৩, ৫, ১৭, ১৮ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এসব জায়গায় খুবই স্লো কাষ্টিং হচ্ছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।’

আইভী বলেন, ‘এই শহরের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মীক সম্পর্ক। তারা আমাকে ভোট দিতে আসছে। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন ভোটারদের ভোট দেওয়ার কাজ একটু সহজ করে দেয়। কোনো কেন্দ্র যেন স্লো না রাখে। সবাই যেন দ্রুত ভোট দিতে পারে।’

আইভী ও তৈমুর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দেয়ালঘড়ি এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মাছুম বিল্লাহ্, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাত ঘড়ি রাশেদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন বটগাছ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ঘোড়া কামরুল ইসলাম।

এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। প্রচারণার ১৮ দিনের কোথাও কোনো সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ২০ লাখ বাসিন্দার সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।