নৌযান চলাচলের অনুমতির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ
লকডাউনে দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নৌযান শ্রমিকেরা। বরিশাল নৌবন্দরে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বিভাগীয় কমিটি আজ মঙ্গলবার এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে তাঁরা বলেছেন, লকডাউনে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের লাখো নৌযান শ্রমিক পেটে পাথর বেঁধে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ঈদে বেতন-ভাতা দূরে থাক শ্রমিকদের এক কেজি সেমাইও কিনে দেননি লঞ্চমালিকেরা। তাঁরা বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লাখ লাখ শ্রমিক এখন বেকার। তাঁদের ঘরে চাল-সওদা পর্যন্ত নেই। পরিবার-পরিজন এখন অর্ধাহারে–অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অবিলম্বে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া লঞ্চশ্রমিকদের কোনো বিকল্প নেই।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি শেখ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, একিন আলী, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
শেখ আবুল হাশেম বলেন, লঞ্চমালিকেরা যদি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করেন, সরকার যদি দাবি মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয় তাহলে পণ্যবাহী নৌযান অবরোধের ডাক আসতে পারে।
এই শ্রমিকনেতা সমাবেশে আরও বলেন, লঞ্চমালিকেরা কখনোই শ্রমিকদের হয়ে কথা বলবেন না, কারণ তাঁরা সরকারদলীয় লোক। অথচ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান বাসশ্রমিকদের জন্য আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এখন সীমিত পরিসরে হলেও বাস চলছে। অথচ লঞ্চমালিক সমিতির নেতারা শ্রমিকদের পক্ষে কোনো কথা বলছেন না।
শ্রমিকনেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করব। আমরা তো বলছি সরকারি সব নির্দেশনা মেনে লঞ্চ চালাব। এরপরও অনুমতি না পেলে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। সমাবেশ শেষে নদীবন্দরে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।