নড়াইলে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোহেল খানকে কুপিয়ে হত্যা

সোহেল খান
ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোহেল খানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পাশে খুন হন তিনি। সোহেল দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহেল খান (৪০) পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁর নামে চারটি হত্যা, ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র মামলাসহ ১৩টি মামলা আছে। তিনি দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান শেখসহ কয়েকটি আলোচিত হত্যা মামলার আসামি।

নিহত সোহেলের স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে ঘর থেকে বের হয়ে পাশেই নবগঙ্গা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্ধকারের মধ্যে কয়েকজন এসে অতর্কিতে সোহেলকে কোপাতে থাকেন। ঠেকাতে গিয়ে তিনিও কিছুটা আহত হন। তাঁরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান।

দিঘলিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত পুলিশের বিট অফিসার ও সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব কুমার বসু বলেন, ঘটনাস্থলেই সোহেল খানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুরো শরীরেই নৃশংসভাবে কোপানোর দাগ। এর মধ্যে মাথায়, পিঠে, বুকে, হাতে, চোখে ও নাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের গভীর ক্ষত হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।