পত্নীতলায় পুলিশের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসামি আড়াই হাজার

নওগাঁর পত্নীতলায় ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের দুটিতে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। উপজেলার কমলাবাড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলায় ইউপি নির্বাচনে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার করা এ মামলায় ১১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, মামলায় ঘোষনগর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাঁকে গতকাল বুধবার রাতেই ঘোষনগর ভোটকেন্দ্র এলাকা থেকে আটক করা হয়। আজ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার প্রধান আসামি ঘোষনগর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীনকে গতকাল বুধবার রাতেই ঘোষনগর ভোটকেন্দ্র এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ঘোষনগর ইউপির ঘোষনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং নজিপুর ইউপির রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় কেন্দ্রগুলোর আশপাশে থাকা কয়েক হাজার মানুষ পুলিশ, আনসার ও ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পথ রোধ করেন। এ সময় ভোটের দায়িত্বে থাকা স্ট্রাইকিং ফোর্সের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবদুল গণি ও পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে যান। উত্তেজিত জনতা ঘোষনগর কেন্দ্রের কাছে পুলিশের একটি পিকআপ ও রিকুইজিশন করা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন।

এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগান থেকে ২৮টি গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ১টি শটগান ও ২০টি গুলি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। রঘুনাথপুর ভোটকেন্দ্রের কাছে কর্তব্যরত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরও ১১১টি গুলি ছোড়ে।