পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, গোয়ালন্দ লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ভাঙন ঠেকাতে পাউবোর ফেলা জিওটিউব ব্যাগসহ প্রায় ১০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। আজ সোমবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিতে অনেক রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে। যাতায়াতের সমস্যায় পড়ছে মানুষ। পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় আজ সকালে প্রায় ২০ মিটার জায়গা বিলীন হয়েছে।

গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে আরও ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাগ্যকূল গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ মিটার।

সোমবার সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঘাটের ১ নম্বর পন্টুন সংযোগস্থল কাঠের সেতুর অগ্রভাগ এলাকায় প্রায় ২০ মিটারজুড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর পাড় থেকে লঞ্চঘাটের পন্টুনের মাঝে অন্তত ১০০ ফুট জায়গা ফাঁকা হয়েছে। পানির প্রচণ্ড স্রোত কাঠের সেতুতে আঘাত হানছে। এই এলাকায় কয়েক দিন আগে ভাঙন ঠেকাতে পাউবো বালুভর্তি জিও টিউব ব্যাগ ফেলেছিল।

লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা আফজাল শেখ বলেন, সোমবার ভোরের দিকে লঞ্চঘাটের ১ নম্বর কাঠের সেতুর সামনের কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। কাঠের সেতুর সামনে থেকে লঞ্চ ভেড়ানোর পন্টুন পর্যন্ত কয়েক শ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। অন্তত ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে সব জিও টিউব ব্যাগ তলিয়ে গেছে।

আরেক বাসিন্দা চান্দু মোল্লা বলেন, নিয়মিতর পরিবর্তে পাউবো কিছুদিন বালুর বস্তা ফেলে আবার বন্ধ রাখে। এখন যদি দ্রুত আবার বস্তা না ফেলা হয়, তাহলে পানির স্রোত সরাসরি বসতভিটায় আঘাত হানবে।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী ইকবাল সরদার বলেন, পানিতে অনেক বস্তা তলিয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছে, সব ভেঙে গেছে। কিন্তু খুব বেশি ভাঙেনি। লঞ্চঘাটের কাঠের সেতুর কারণে ঠিকমতো বস্তা ফেলাও যাচ্ছে না। যতটুকু দেবে গেছে, সেখানে নতুন করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।