পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা মঞ্চ হবে নৌকার আদলে, স্থান পরিদর্শনে আ.লীগ নেতারা
মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর সেতু পেরিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর তিনি যোগ দেবেন জনসভায়। মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে উদ্বোধনী জনসভার মঞ্চটি হবে পাল তোলা নৌকার আদলে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপরতা শুরু করেছেন। এর অংশ হিসেবে জনসভার জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন দলের নেতারা। জনসভায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর আশা করছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী লিটনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের একটি দল মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তা ও মাদারীপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। নেতারা কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনকে অনুরোধ করেন।
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে মাদারীপুর–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, বাঙালির, বাংলাদেশের বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর জমকালো অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারা দেশে আনন্দ উৎসব করা হবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে উদ্বোধন অনুষ্ঠান দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের লাখো মানুষ জনসমুদ্রে পরিণত করবে।
বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও জনসভা ঘিরে নানা ধরনের আয়োজন থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সাহসী নেতৃত্বে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। তিনি লাখো মানুষের জনসমুদ্রে উন্নয়নের বার্তা দেবেন। তাঁর ভাষণের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার শো, আতশবাজিসহ নানা ধরনের আয়োজন করা হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্ত ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপিকে অনুরোধ করব, আপনারা অপপ্রচারে উসকানি দেবেন না। যদি পঁচাত্তরের ঘাতকের ভাষায়, খুনিদের ভাষায় কথা বলেন, তাহলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের মোকাবিলা করবে।’
জনসভাস্থল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর–১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।