পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে মোটরসাইকেলচালকদের মানববন্ধন

পদ্মা সেতু ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে চালকদের মানববন্ধন। বুধবার পদ্মা সেতুর নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে
ছবি: প্রথম আলো

পদ্মা সেতু ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘শরীয়তপুর বাইকার্স’ নামের একটি সংগঠন। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্তে নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা টোল প্লাজার সামনে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মোটরসাইকেলচালকেরা অংশ নেন। তাঁরা পদ্মা সেতু ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেওয়ার দাবি জানান।

আরও পড়ুন

২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ওই দিন সেতু দিয়ে অন্তত ৪৬ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়। ওই রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২৭ জুন থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঈদের আগে ও পরে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা।

শরীয়তপুর বাইকার্সের মডারেটর মো. জয় হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যেখানে তরুণদের স্বপ্ন পূরণ হবে, সেখানে বিশৃঙ্খলার অজুহাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে, এটা হতে পারে না। পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কসহ আন্তজেলা বাইক চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন

সংগঠনটির সদস্য হাসান মাসুদ বলেন, তরুণদের অনেকে শিক্ষার্থী, অনেকে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি করেন। তাঁদের সহজ ও দ্রুত যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে হয়। সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকলে তাঁরা কীভাবে পদ্মা নদী পারাপার হবেন? আর মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালাতে না পারলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কীভাবে যাবেন? তাই লাখ লাখ বাইকারের দুর্ভোগের কথা ভেবে বাইক চালানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তাঁরা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনা রোধে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতমত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত সেতু দিয়ে কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। তবে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ফেরি চালু করা হবে। সে জন্য নাব্যতা–সংকট দূর করতে ড্রেজিং করছে বাংলাদশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।