পদ্মা সেতু থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক হচ্ছে

পদ্মা সেতু থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ছবিটি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা থেকে তোলা
ছবি: সত্যজিৎ ঘোষ

পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্ত থেকে জেলা শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ লক্ষ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১০৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে সওজ।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও সওজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি মিলেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্তে। নাওডোবা থেকে সেতুর টোল প্লাজা অতিক্রম করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক দিয়ে মাদারীপুরের শিবচর এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। কিন্তু নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য প্রশস্ত সড়ক নেই। তাই এই রুটে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য আধা সরকারি চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) দেন শরীয়তপুরের দুই সাংসদ ইকবাল হোসেন ও এনামুল হক শামীম। গত বছর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। এরপর চার লেন সড়ক নির্মাণের জন্য ১০৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় শরীয়তপুর সওজ বিভাগ।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২৭ কিলোমিটার সড়কের জন্য জেলা প্রশাসন গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সড়কের জমির মালিকদের নোটিশ দিয়ে অধিগ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিশোধ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে ১১০ কোটি টাকা দিয়েছে সড়ক বিভাগ। একটি গুচ্ছ প্রকল্পে দুই লেনের ৩৪ ফুট প্রশস্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে সওজ। আরেকটি গুচ্ছ প্রকল্পে সড়কের দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি প্যাকেজে (গুচ্ছ প্রকল্পে) পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে সড়কটি হবে দুই লেনের। জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে চার লেনের জন্য। পরবর্তী সময়ে আরও দুই লেন বাড়ানো হবে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হলে দ্রুততম সময়ে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা যাবে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুনে পদ্মা সেতু চালু করা হবে। তার আগেই যাতে শরীয়তপুর জেলা শহরের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়, সে লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।