পরিচয় মিলছে না এই নারীর

নাম-পরিচয়হীন চল্লিশোর্ধ্ব এই নারীর স্বজনদের খোঁজ পেলে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

নাম-পরিচয় কিছুই জানেন না চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। আট বছর ধরে আশ্রয়, সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে আগলে রেখেছিলেন স্কুলশিক্ষক ফাতেমা বেগম। তাঁর বাড়ি রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশা ইউনিয়নের রতিরাম কমলওঝা গ্রামে।

২০১৯ সালে ফাতেমা বেগম মারা যান। তিনি চাকিরপশা ইউনিয়নের ফুলকার চাকলা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। এখন ফাতেমার সন্তান ও স্বজনেরা ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন এবং স্বজনদের খোঁজ করছেন। তাঁদের চাওয়া, ওই নারী তাঁর স্বজনদের ফিরে পাক, প্রিয়জনদের কাছে চলে যাক। শেষ পর্যন্ত স্বজনদের যদি সন্ধান না মেলে, তবে ওই নারী তাঁদের কাছেই থাকবেন।

ফাতেমা বেগমের ছেলে সুইট রানা বলেন, ২০১২ সালে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহটি এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় এক নারী ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তখন তাঁর বয়স আনুমানিক ৩১ কিংবা ৩২ বছর ছিল। কৌতূহল নিয়ে আশপাশের লোকজন পরিচয় জানতে চান। কিন্তু ওই নারীর নাম–পরিচয় কিছুই বলতে পারছিলেন না। শুধু হাসছিলেন, আর পাগলের মতো আচরণ করছিলেন। তখন তাঁর মা উপস্থিত লোকজনের অনুমতি নিয়ে ওই নারীকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে ওই নারী এখন পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতেই আছেন।

কমলওঝা গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ বলেন, ওই নারীকে মাথা গোঁজার ঠাঁই ও খাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ও তাঁর ছেলে সুইট রানা খুব ভালো কাজ করেছেন। এখন ওই নারীর ছবি দিয়ে খবর প্রকাশ হলে তিনি তাঁর স্বজনের খুঁজে পেতে পারেন।

এ বিষয়ে চাকিরপশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এমন একজন মানুষকে তাঁর মা–বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে ভালো হতো।