পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টাকা–স্বর্ণালংকার লুট, ১০ জন হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরে একটি পরিবারের সবাইকে রাতের খাবারের সঙ্গে কৌশলে চেতনানাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে পরিবারটির ১০ সদস্যের সবাই অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাঁদের ঘরে থাকা টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুবী গ্রামের দাসবাড়ির কানু লাল দাসের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাঁরা হলেন কানু লাল দাস (৯০), কমলা রানী দাস (৭৫), রবি দাস (৪৮), সমীর দাস (৪৪), অংকর দাস (১৪), অহনা দাস (১২), নারায়ণ দাস (৭৫), লক্ষ্মী রানী দাস (৬৫), তিমু রানী দাস (২৮) ও কান্তি লাল দাস (৭৫)।

পুলিশ ও ওই পরিবারের স্বজনেরা জানিয়েছেন, ওই ১০ জন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের মধ্যেই তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। রাতের কোনো একসময় একজন জেগে ওঠেন ও কিছুটা স্বাভাবিক হন। এ সময় তিনি অন্যদের ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে তিনি পরিবারের নারী সদস্যদের কারও কানে-গলায় স্বর্ণালংকার না দেখে চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেন। এরপর আজ শুক্রবার ভোরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কানু লাল দাসের বড় ছেলে খাবার হোটেলের শ্রমিক রতন দাস বলেন, ‘আমি রাতে হোটেলে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে যাই। কে বা কারা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়েছে। সেই খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন ঘরের সবাই। এরপর দুর্বৃত্তরা ঘরে থাকা টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে।’

জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।