পাচারের তথ্য পেয়ে অভিযান, ৪০ টন ইউরিয়া জব্দ

ইউরিয়াবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান জব্দের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় মানুষের ভিড়। রোববার রাত আটটায় বগুড়ার শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে
প্রথম আলো

পাচারের অভিযোগে বগুড়ার শেরপুরে ৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার জব্দ করেছে প্রশাসন। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাত পৌনে আটটায় হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় সারবোঝাই দুটি ট্রাক আটক করা হয়। এ সময় দুই গাড়ির চালককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, বগুড়ার বাফার গুদাম থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ও আরেকটি ট্রাকে ৪০ টন সার যাচ্ছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে। বগুড়া থেকে ইউরিয়া সার পাচার হচ্ছে—এমন তথ্যে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় ট্রাক দুটি আটক করা হয়। ৫০ কেজি ওজনের ৮০০টি বস্তায় এই ৪০ টন সার রয়েছে।

সার বহনকারী একটি ট্রাকের চালক ছিলেন মোহাম্মদ জামাল (২৫)। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার পশ্চিম চণ্ডিপুর গ্রামে। তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় বগুড়ার বাফার গুদাম থেকে তাঁর গাড়িতে ২০ টন এবং আরেকটি কাভার্ড ভ্যানে আরও ২০ টন ইউরিয়া সার নিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যাচ্ছিলেন। এসব সারের মালিক কে, তা–ও তাঁরা জানেন না। মুঠোফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁরা এ সার তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

কাভার্ড ভ্যানের চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সারগুলো বৈধভাবে না অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাঁরা তা জানেন না। বাফার গুদাম থেকে সারের বস্তাগুলো বের করার পর তাঁদের যে চালান হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেই চালানে কোনো সিল ও স্বাক্ষর নেই।

উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, ঝিনাইদহ জেলায় এই ইউরিয়া সারসংকট দেখা দিলে বিধি অনুযায়ী বগুড়া থেকে সার গ্রহণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এমন কোনো আদেশ নেই। পাচারের উদ্দেশ্যে সারগুলো বগুড়া জেলা থেকে ঝিনাইদহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে তিনি ধারণা করছেন।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফ আলী বলেন, ট্রাক দুটি আটক করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত ছিলেন। ট্রাক দুটি আটকের পর দুটি গাড়িচালককে তাঁরা হেফাজতে নিয়েছেন।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ বলেন, বগুড়া থেকে এই ইউরিয়া সার পাচার করার উদ্দেশ্যেই ট্রাকে বহন করে শিলাইদহের কালীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সার কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।