পাবনায় বিএনপির সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড, যুবদলের নেতা ছুরিকাহত

পাবনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ স্থান ত্যাগ করেন। আজ দুপুরে পাবনার গোপালপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে
ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের এক সাবেক নেতা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে জেলা শহরের লাহিড়ীপাড়া মহল্লায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত নেতার নাম মনির হোসেন (৪০)। তিনি জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা আড়াইটার দিকে পাবনায় সমাবেশ শুরু হয়। স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনর রশিদ বক্তব্য দিতে শুরু করেন। তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খানের সঙ্গে যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে তাঁরা হাতাহাতি শুরু করেন। এ সময় দুই নেতার সমর্থকেরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠিসোঁটা ও ছুরি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালান। এ সময় ছুরিকাহত হন যুবদলের নেতা মনির হোসেন। হুড়োহুড়ির মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল। তাঁরা সজাগ দৃষ্টিতেই ছিলেন। এর মধ্যেই সংঘর্ষ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনর রশিদ, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, ওবায়দুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, কৃষক দলের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রশিদ হাওলাদার প্রমুখ।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুব দুঃখজনক, তবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি। এরপরও বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’