পাহাড় কেটে আবাসন প্রকল্প করার অভিযোগে ৮ জনের নামে মামলা

সরকারি পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। সম্প্রতি সমুদ্রসৈকত–সংলগ্ন আদর্শগ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন পাহাড় কেটে আবাসন প্রকল্প ও ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সরকারি কর্মচারীসহ আটজনের নামে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, মামলার তদন্তকাজ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিচালনা করবেন।

মামলার আসামিরা হলেন জেলা কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া বাজার এলাকার সুলতান মোহাম্মদ বাবুল (৪৫), পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টেকপাড়ার জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নাল সওদাগর (৬২), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানার ঘোনার বাসিন্দা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের জারিকারক জুলফিকার আলী ভুট্টো (৫২), কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন (৪০), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলীর সৈকতপাড়ার মোহাম্মদ হোসাইন ফকির প্রকাশ মাছন ফকির (৫৫), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকার শাহজাহান (৪৩), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ৫১ একর এলাকার দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও ছিদ্দিক মাঝি (৪৫)।

অভিযুক্ত আসামিদের নামে শহরের কলাতলীতে সরকারি পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন আগে আসামিরা মিলেমিশে সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন সরকারি পাহাড়ের জয়নাল সাওদাগরের ঘোনা এলাকায় বিশাল সরকারি পাহাড় কেটে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন। অন্যান্য পাহাড় নিধনকারীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।

১৯ মে প্রথম আলোতে ‘কক্সবাজারে পাহাড় কাটার ধুম, প্লট বানিয়ে সরকারি জমি বিক্রি’ শীর্ষক শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সরকারি কর্মচারীদের নেতৃত্বে পাহাড় নিধনের কথা উল্লেখ করা হয়।

পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’-এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, এমনিতে কক্সবাজারে পাহাড় কাটার অহরহ ঘটনা ঘটছে। এর ওপর সরকারি কর্মচারীরা প্রকাশ্যে পাহাড় কাটায় জড়িত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এখন নিধন করা পাহাড়গুলোতে দ্রুত বনায়ন করতে হবে। নাহলে আসন্ন বর্ষার ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন