পুলিশের বাধায় বিএনপির ‘ভোটাধিকার হরণ দিবস’–এর কর্মসূচি পণ্ড

কর্মসূচি শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের বাধায় মানববন্ধন বন্ধ হয়ে যায়
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় বিএনপির ‘ভোটাধিকার হরণ দিবস’–এর কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। আজ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু মাত্র ১০ মিনিট চলার পর পুলিশের বাধায় মানববন্ধন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

মানববন্ধনে বেনজীর আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছিল। ওই দিন রাতের আঁধারে ভোটের আয়োজন করে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। এ গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে গণমানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বেনজীর আহমেদের পর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলীসহ অন্য নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যাওয়ায় আর কোনো নেতা বক্তব্য দিতে পারেননি।

সৈয়দ মোদাররেছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোটাধিকার হরণ’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে জেলা বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করছিল। কিন্তু কর্মসূচি চলার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ব্যানার কেড়ে নিয়ে মানববন্ধন পণ্ড করে দিয়েছে।

মানববন্ধনের পাশাপাশি এ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল
ছবি: প্রথম আলো

এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গুলজার হোসেন মৃধা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিকী, ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন মৃধা, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ওখানে ব্যানার টেনে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, কয়েকজন লোক কয়েকটি ব্যানার নিয়ে অবৈধভাবে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ খবর পেয়ে পুলিশের ছোট একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে অবৈধভাবে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া লোকজন পালিয়ে যায়।