‘পুষ্পা’ আর ‘কাঁচা বাদাম’–এর দাপট

ঈদের আর বাকি চার-পাঁচ দিন। শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে নওগাঁর বিপণিবিতানগুলো। বরাবরের মতো এবারও ঈদবাজারে পায়জামা-পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়িসহ পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এবার ঈদে নওগাঁয় নতুন আকর্ষণ হলো মেয়েদের হাল ‘কাঁচা বাদাম’, ‘পুষ্পা’ ও ‘শারারা-গারারা’ পোশাক।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে গত দুই বছর তাঁদের লোকসান হয়েছে। তবে এবার ১০ রোজার পর থেকেই দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি ভালো। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রি ততই বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের কাপড়পট্টি, গীতাঞ্জলি শপিং প্লাজা, জহির প্লাজা, দেওয়ান বাজার, হাসনাহেনা, মক্কা মার্কেট, শুভ প্লাজা, ইসলাম মার্কেট, সৌদিয়া সুপার প্লাজা, মাজেদা সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বেশ ভিড়। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা থেকে লোকজন এসব মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসছেন।

শহরের বাটারমোড় এলাকার দেওয়ান বাজারের আসমান বিগবাজার নামের দোকানের কর্মীরা বলেন, এ বছর ঈদের বাজারে মেয়েদের দেশি সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে ভারতীয় কাঁচা বাদাম, পুষ্পা, অরগেনজা, জয়পুরি এবং পাকিস্তানি শারারা-গারারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস ১ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর শাড়ির দাম ৮০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আছে।

দেওয়ান বাজারে শিপলু বুটিকস নামের একটি দোকানেও বেশ ব্যস্ততা দেখা গেছে। ছেলেদের জামা, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি রয়েছে দোকানটিতে। মালিক জাহান আলম বলেন, তাঁর দোকানে ছেলেদের ১ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার টাকা দামের পায়জামা-পাঞ্জাবি রয়েছে। এ ছাড়া ৮০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার প্যান্ট ও শার্ট রয়েছে।